গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত সচিব বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা জনাব মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেছেন, গবেষণা থেকে নতুন নতুন ফসলের জাত ছাড় পাওয়ার সাথে সাথে ঐ বছরই যাতে মাঠে বাস্তবায়ন হয় সেদিকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সবচেয়ে বেশী ভূমিকা থাকা দরকার। মাননীয় সচিব গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ,ফরিদপুর এর সম্মেলন কক্ষে ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সংশ্লিস্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এ কথা বলেন। ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কৃষি সচিব আরো বলেন, জনসংখ্যা বাড়ছে, জমি কমছে। তারপরও উৎপাদন বাড়ছে। এতে কৃতিত্ব প্রথমত কৃষক ভাইদের। দ্বিতীয়ত গবেষণা সংস্থাসহ সংশ্লিস্ট বিভাগের। সচিব বলেন, স্থানীয়ভাবে যে জাতের উৎপাদন বেশী সে জাতটি চাষিদের কাছে দিতে হবে। এতে করে চাষি লাভবান হবে। সচিব কৃষি মন্ত্রী মহোদয়ের ভিষন নিয়ে বলেন, ভূ গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা যাবে না, আউশের আবাদ বাড়াতে হবে। ভূট্টার চাষ সম্প্রসারণ করতে হবে। গম ব্লাস্ট প্রতিরোধী না হলে ভূট্টা চাষসহ যব উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে।
অতিরিক্ত পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুর কিংকর চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম,পরিচালক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং,ডিএই,ঢাকা। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. মোঃ মঞ্জুরুল আলম। জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদপুর গোপাল কৃষ্ণ দাস এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ফরিদপুর অঞ্চলের সার্বিক কৃষি কার্যক্রম তুলে ধরেন অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদপুর কৃষিবিদ কিংকর চন্দ্র দাস। জেলাওয়ারী মাঠ ফসলের তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন, উপপরিচালক রাজবাড়ি মোঃ ফজলুর রহমান,মাদারীপুর জি এম এ গফুর, গোপালগঞ্জ সমীর কুমার গোস্বামী, শরিয়তপুরের এ কে এম মহিউদ্দিন, ফরিদপুরের কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী। এ ছাড়া গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ কৃষি সংশ্লিস্ট বিভাগের প্রধানগণ বিভাগীয় কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। কৃষি সচিব কার্যক্রম উপস্থাপনের পর বলেন, বছরব্যাপী তরমুজ চাষ শরিয়তপুরের জনসাধারণের পুষ্টি ও বাণিজ্যিক দিকে প্রভাব ফেলবে। চর এলাকার কৃষকদের জন্য বাছাড়ী টন ঘর বহুমূখী কৃষি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করার প্রকল্প প্রেরণের পরামর্শ প্রদান করেন। গোপালগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলায় ফসলের নিবিড়তা বাড়ানোর জন্য একযোগে কৃষি সংশ্লিস্ট বিভাগের কাজ করার আহবান জানান। কৃষি সচিব ফসল উৎপাদনে জৈব সার ব্যবহার করে রাসায়নিক সার ব্যবহার কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কৃষি সচিব বিকাল ৪.৩০মিনিটে টুঙ্গীপাড়াস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরত কামনা করে দুরুদ,দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময়ে সচিব মহোদয়ের সংগে পরিচালক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং ডিএই ঢাকা মীর নূরুল আলম ও পাট গরেষণা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. মোঃ মঞ্জরুল আলমসহ অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সচিব বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শেখ রাসেল শিশু পার্ক সংলগ্ন টুঙ্গীপাড়া মাঠে হর্টিকালচার সেন্টার কাশিয়ানী গোপালগঞ্জের উদ্যোগে কৃষক/কৃষাণীদের মাঝে ফলের চারা বিতরণ করেন। মাননীয় কৃষি সচিব মহোদয় টুঙ্গীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়েজিত মত বিনিময় সভায় ইউনিয়ন/ব্লক পর্যায়ে কৃষির বিভিন্ন কর্মকান্ড অবগত হন। দিক নির্দেশনা ও উন্নয়ন মুলক বক্তব্যে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের পূণ্যভূমি টুঙ্গীপাড়া। এ এলাকার কৃষি উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত চাষাবাদসহ বিশেষকরে নতুন নতুন ফসলের জাত সম্প্রসারণ, ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ চাষিদের দোরগোড়ায় কি ভাবে পৌছে দেয়া যায় সে জন্য কাজ করতে হবে।